প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২০, ১১:২৫
১২৯৫ বার পঠিত

”পাবনায় অপহরণ করে বিয়ে পরে পিটিয়ে হত্যা”ও ”সুজানগরে তরুণী গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী রাফি গ্রেফতার”
শিরোনামের কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রকাশিত সংবাদ টি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদ টি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিক দের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার (০১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে।নিহত গৃহবধূর স্বামী ‘বিচ্ছু বাহিনীর’ সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঐশী আমার পুত্র বধু, রাফি আমার সন্তান দুজন লেখা পড়া করতো, ওদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাফি ঐশী কে চড় থাপ্পড় দিলে, ঐশী অভিমান অন্য ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়, এঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমি বাসায় চলে যাই, গিয়ে রাফির কাছে ঐশী মা মনির কোথায় যাইতে চাইলে, রাফি জানায় তোমার মা মনি ঐ ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বসে আছে, আমি ঐশী মা মনি বলে একাধিকবার ডাকার পর ও যখন কোন সাড়া শব্দ পাই না, তখন জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে পারি, ঐশী ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে, আমি চিৎকার করে দরজা ভেঙে ঐশী কে নামিয়ে মাথায় পানি দেওয়া শুরু করি, রাফি দ্রুত ভ্যান নিয়ে আসে, তখন ও ঐশী নড়াচড়া করছিল, হাসপাতালে নেওয়ার পর, কর্তব্যরত চিকিৎসক ঐশী মৃত্যু ঘোষণা করে। অথচ আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ঐশী কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঐশী ও রাফি দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল,পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। ঐশীর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত , তেমনি ঐশীর মা বাবা। অথচ এই সুযোগে কিছু দুষ্কৃতকারীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ এবং দুই পরিবারের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি করেছে। এঘটনায় আমার সন্তান রাফি কে পুলিশ সন্দেহ বসত গ্রেফতার করেছে, ঐশীর মৃত্যুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হলেই সব কিছু পরিস্কার হবে। সাংবাদিক দের কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ,কারো কথায় সত্য না জেনে সংবাদ প্রকাশ করবেন না। এতে দুই পরিবারের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হবে।
রাজা শেখ
সুজানগর, পাবনা।